এ্যালার্জীর লক্ষন ও তার সমাধান।

 এ্যালার্জী সমস্যায় ভুগছেন  অনেকেই। নিয়ম মেনে চললে এ রোগ থেকে সুস্থ থাকা সম্ভব। যদি জানা জানা যায় কি কারনে এ্যালার্জী হচ্ছে।  এ্যালার্জী এক ধরনের শারীরিক  প্রতিক্রিয়া।যা মানুষকে অসস্থিকর অবস্থায় ফেলে। যার কারনে মানুষের  এ্যালার্জী হতে পারে।



 যেমন - শরীর চাকা চাক হয়ে যায়। হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া। ঠোঁট ফোলা, শরীর ফোলা ইত্যাদি।

এ্যলার্জীর লক্ষনঃ

বিভিন্ন ধরনের এ্যালার্জীর লক্ষন ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। শ্বাসকষ্ট, পেটে ব্যাথা,  বোমি হওয়া, ডাইরিয়া,  চোখ দিয়ে  পানি পড়া, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, মাথা ব্যাথা সাইনাসের সমস্যা  ইত্যাদি।

তকের সমস্যাঃ এ্যালার্জীর কারনে ত্বক লাল হতে পারে। চুলকনি হতে পারে।শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।স্কিন ফুলে যেতে পারে। নাক দিয়ে পানি পড়তে পারে। চোখ  লাল হয়ে যায় চুলকাই। চোখ দিয়ে পানি পড়ে।

শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যাঃ কিছু  এ্যালার্জী শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। যেমন- ধুলা বালি, মশার কয়েলের ধোঁয়া,  পারফিউম, দুষিত বয়ু, পোষা প্রানীর লালা থেকে। এছাড়াও সর্দিকাশি, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখে চুলকানি বেশি হয়।

খাবার থেকে এ্যালার্জীঃ কিছু ক্ষেত্রে এ্যালার্জী গুরুতর হতে পারে।যখন শ্বাসকষ্ট,  রক্ত চাপ কমে যেতে পারে। এছাড়াও কিছু খাবার রয়েছে যা এলার্জীর কারন যেমন- ইলিশ মাছ, চিংড়ী  মাছ, সামুদ্রিক মাছ, বেগুন, কচু শাক, পুঁই মাক,  গরুর মাংস। এগুলোর কারনে অনেক সময় পেটে ব্যাথা, বোমি, ত্বক চুলকাই।

অনেক বাচ্চাদের  দুধ, ডিম, ও বিভিন্ন মাছের কারনে এ্যালার্জী হতে পারে। খাবার থেকে বিভিন্ন্ কারনে কারো কারো শরীর ফুলে যেতে পারে।

ঔষধ থেকে এ্যালার্জীঃ কিছু কিছু ঔষধের  কারনেও  এ্যালার্জী হতে পারে।প্রেসারের ঔষধের কারনেও   এ্যালার্জী হতে পারে। যেমন- পেনসিলিন, সালফার জাতীয় এবং ব্যাথা নাশক ঔষধ সেবনের ফলে এলার্জী হতে পারে। যার ফলের্াশ, চুলকানি  শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে।


সমাধানঃ

কি কারনে এ্যালার্জী হচ্ছে তা  চিহ্নিত করা। খাবার ঔষধ নাকি পোকা মাকড়ের কামড়ের কারনে, নাকি ধুলাবালির কারনে, সেটাখেয়াল রাখতে পারলে এ্যালার্জী সনাক্ত করা সম্ভব। এছাড়াও রক্ত পরীক্ষা  করার মাধ্যমেপরীক্ষা করা সম্ভব।

যে সব খাবার নিষিদ্ধঃ যে সব খাবারে এলার্জি বাড়তে পারে  সে খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন- মিষ্টি, চিনি, সরবত, সোডা, আরও রয়েছে চিপস, ফাষ্টফুড, ক্যান্ডি, চিংড়িমাছ, গরুর মাংস,বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, অতিরিক্ত মসলা যুক্ত খাবার। এই খাবার গুলো অবশ্যয়ই এড়িয়ে চলতে হবে নয়তো এলার্জি বাড়তে পারে।

এ্যালার্জীর  চিকিৎসাঃ

এ্যালার্জীর মুল চিকিৎসা, যে কারনে এলার্জী হচ্ছে  সেটি এড়িয়ে চলা। ধুলা ফুলের রেনু, ধোঁয়া ,  ঘর ঝাড় দেয়ার সময়ে  যদি এ্যালার্জী হয়, তবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। খাবারে এ্যালার্জী হলে,এ ধরনের খাবার খাওয়া  যাবেনা।

এ্যার্জির ঔষধের নামঃ

এ‌্যলার্জির বিভিন্ন ধরনের ঔষধ রয়েছে তার মধ‌্যে কিছু ঔষধের নাম নিম্নে দেয়া হলো।
  • এ্যার্লাট্রোল 10 m.g
  • অ্যালারনেক্স 110 m.g.
  • গ্রেনযাইন 120 m.g.
  • হিষ্টাকাইন্ড 120 m.g.
  • ন্যাসিভিওন 120 m.g.
  • ফেকজো 120 m.g.

বাংলাদেশে এ‌্যালার্জির ঔষধের নাম:

বাংলাদেশে অনেক কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের এ‌্যালার্জির ঔষধ পাওয়া যায়। কয়েকটি ঔষধের নাম দেয়া হলো যেমন- 
  • লোরাটিন, 
  • লোরাটিডিন
  • ক্লারিটিন 
  • জিরটেক
  •  লিভোসেটিরিজিন 
  • পোলারামিন

স্কিন এ‌্যালার্জির ঔষধঃ 

স্কিন এলার্জির কিছু স্কিম পাওয়া যায়। যেমন-
  • ডিফেন হাইড‌্রামাইন ক্রিম
  • ডোভোনেক্স
  • প্রোমেথাজিন
  • হাইড্রোকেটিশন
  • ট্রায়ামসিনোলন

কিছু থেরাপি রয়েছে ঃ

এ‌্যালার্জির জন‌্য যে সব থেরাপি রয়েছে তা নিম্নে দেয়া হলো।
  •  ডুপিলমার্ক 
  • এক্সিমার লেজার থেরাপি
শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা বা সাইনাসের সমস্যা হলে বা নাক বন্ধ হলে নেজাল স্প্রে,ট্রাইমাজল, এন্টাজল ব্যাবহার করা যেতে পারে। প্রয়োজনে এ্যালার্জী  উপশমের জন্য ইমিউনোথেরাপি ও দেয়া যেতে পারে। সর্বপরি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী  ঔষধ সেবন করা উচিত।

গুরুতর প্রতিক্রিয়াঃ 

সবচেয়ে গুরুত্ব ও বিপদ জনক এ্যানাফাইল্যাক্সিস এ্যালার্জীর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা। এর কারনে রোগী হঠাৎ করে শরীরের রক্তচাপ কমে যায়। মানুষ মারা ও যেতে পারে। এ জন‌্য রোগিকে অবশ‌্যই দ্রুত হাসপালে নিতে হবে।

সতর্কতাঃ

এ্যালার্জী রোগির ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে।  যদি ঠোঁট  ফুলে যায় বা শ্বাসকষ্ট অতিরিক্ত হয়।সেই সাথে প্রেসার কমতে থাকে, তাহলে অবশ্যই রোগীকে দ্রুত  হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। অথবা সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

পরিশেষে বলা যায়, যে কারনে এ্যালার্জী হচ্ছে তা চিহ্নিত করে সেটা থেকে দুরে থাকতে হবে বা এড়িয়ে চলতে হবে। এ্যালার্জী দীর্ঘ মেয়াদী। সারা জীবন থাকতে পারে। সব সময় সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে। সবগুলো নিয়ম মেনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করলে সুস্থ থাকা সম্ভব। 





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইমা ম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url