ওজন বৃদ্ধির কারন ও সমাধাণ।


সুস্থ থাকার জন‌্য ওজন নিয়ন্ত্রন রাখা প্রয়োজন। ওজন বেড়ে গেলে সেখান থেকে জন্ম হতে পারে অনেক অসুখের। জীবনে নানা ধরনের চাপ সামলেই আমাদের এগিয়ে যেতে হয়। তাই স্ট্রেস আসা স্বাভাবিক। 


পানি কম পান করার কারনে ওজন বেড়ে যেতে পারে। আপনি কি করে বুঝবেন আপনার ওজন বাড়লো নাকি কমলো। সবার উচ্চতা এক নয় যার যার উচ্চতা অনুযায়ী ওজন পরিমাপ করার মাপকাঠি। 

 ওজন বৃদ্ধির কারন ও সমাধাণ

  • উচ্চতা অনুযায়ী মাপ উচ্চতা
  • ওজন কমানোর জন‌্য শীর্ষ ১০ কম কার্বযুক্ত খাবার
  • জেনে ননি, রাতে কোন খাবার খেলে ওজন কমে দ্রুত:

ওজন বৃদ্ধির কারনঃ

ওজন বৃদ্ধির বেশ কিছু কারন রয়েছে ,তার মধ্যে প্রধান কারন হলো শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হওয়া। শারীরিক পরিশ্রমের অভাব,কিছু রোগের প্রভাব, মানষিক চাপ,ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া,এছাড়াও বয়স, ও জীন গত কারনে ও ওজন বৃদ্ধির প্রভাব ফেলতে পারে। এর সাথে খাদ্যভ্যাস। হরমোন এবং কিছু রোগ ওজন বৃদ্ধিতে ভুমকা রাখে।


উচ্চতা অনুযায়ী মাপ উচ্চতা:

পুরুষ:৫ ফুুট ৩ ইঞ্চি। ৫৩ থেকে ৬৬ কিলোগ্রাম। মহিলা: ৪৯ থেকে ৬৩ কিলোগ্রাম। উচ্চতা:পুরুষ:৫ ফুুট ৫ ইঞ্চি। ৫৫ থেকে ৬৮ কিলোগ্রাম। মহিলা: ৫১ থেকে ৬৫ কিলোগ্রাম। উচ্চতা:পুরুষ:৫ ফুুট ৬ ইঞ্চি। ৫৬ থেকে ৭০ কিলোগ্রাম। মহিলা: ৫৩ থেকে ৬৭ কিলোগ্রাম। উচ্চতা:পুরুষ:৫ ফুুট ৭ ইঞ্চি।

৫৮ থেকে ৭২ কিলোগ্রাম। মহিলা: ৬১ থেকে ৭৭ কিলোগ্রাম। উচ্চতা:পুরুষ:৬ ফুুট ০ ইঞ্চি। ৬৭ থেকে ৮৩ কিলোগ্রাম। মহিলা: ৬৩ থেকে ৮০ কিলোগ্রাম। উচ্চতা:পুরুষ:৬ ফুুট ১ ইঞ্চি। ৬৯ থেকে ৮৬ কিলোগ্রাম। মহিলা: ৬৫ থেকে ৮২ কিলোগ্রাম। উচ্চতা:পুরুষ:৬ ফুুট ২ ইঞ্চি। ৭১ থেকে ৮৮
 কিলোগ্রাম। 

মহিলা: 
৬৭ থেকে ৮৪ কিলোগ্রাম। পিরিওডের গড়মিল নারীর ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধির আর একটি কারন হলো খতু স্রাবের গড়মিল। পিরিওডের কাছাকাছি এলে কিছুটা ওজন বেঢ়ে যেতে পারে। তাই পিরিওডের সময় নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত। মোনপোজ মোনোপজ নারীর জীবনে একটি ধাপ। একটি নিদিষ্ট সময়ে এসে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়াকে মোনোপজ বলা হয়।

এ সময় হরমোনাল সমস‌্যার জন‌্য নারীর শরীরে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এসময় পুরো শরীরে হরমন এলোমেলো হয়ে যায়। তাই মোনোপজের সময় ওজন বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। ফ্লইড ইনটেক শরীর ঠিক রাখার জন‌‌্য ফ্লইড জাতীয় খাবার খান। এদিকে আবার পানি কম পান করেন। এগুলো হতে পারে আপনার ওজন বেড়ে যাওয়ার কারন।

ওজন কমানোর জন‌্য শীর্ষ ১০ কম কার্বযুক্ত খাবার:

অন‌্যান‌্য পাতা যুক্ত শাকসবজিতে কার্বহাইড্রেট কম এবং ফাইবার বেশি থাকে, যা এগুলিেকে কম কার্বহাইড্রেটট ডায়েটের জন‌্য পছন্দ করে তোলে।
  • ব্রেকলি আভাকাত
  • ডিম
  • মাংস ও পোলট্রি
  • মাছ
  • বাদাম ও বীজ ফুলকপি

অতিরক্তি ক‌্যালরি গ্রহনঃ

যখন কেউ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক‌্যালরি গ্রহন করে, তখন সে ক‌্যালরি শরীরে ফ‌্যাট হিসেবে জমা হতে থাকে। যা ওজন বৃদ্ধিতেসহায়তা করে। যেমন  ফাষ্ট ফুড, মিষ্টি ও চিনি যুক্ত খাবার, ভাজা পোড়া খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার,অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার। এ জাতীয় খাবার খাওয়ের ফলে শরীরে ফ‌্যাট জমা হতে থাকে ফরে ওজন বৃদ্ধি পায়।

রোগের প্রভাবঃ

 কিছু রোগের কারনেও ওজন ‍বৃদ্ধি পায়। যেমন: থাইরয়েড, গ্রন্থির সমস‌্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, ইনসুলিন রেজিস্ট‌্যান্স, ইত‌্যাদি রোগের কারনে ওজন বৃদ্ধি পায়।এছাড়া ও মানসিক চাপ কমানোর জন‌্য অনেক বেশি খাবার খায় যা ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।

 রাতে কোন খাবার খেলে ওজন কমে দ্রুত:

 কলা পুষ্টিগুনে ভরপুর এই ফল। আমন্ড বদাম রাতে কয়েকটা খেয়ে নিতে পারেন। খাদ‌্য তলিকায় পিনাট বাটার ও রাখতে পারেন।  ঘুমের মধে‌্য পেশি গঠনের জন‌্য দই খুব ভাল। সকালে খালি পেটে নীচের খাবার খেলে দ্রুত ওজন কমবে: জিরা ভিজানো পানি,মৌরি ভেজানো পানি, মধু, দারুচিনি ভেজানো পানি, হলুদ পানিয়।  সকালের খাবারের তালিকায়  গ্রীন টি  থাকলে ভাল।
যে সব খাবার নিষিদ্ধঃ 
যে সব খাবারে এলার্জি বাড়তে পারে  সে খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন- মিষ্টি, চিনি, সরবত, সোডা, আরও রয়েছে চিপস, ফাষ্টফুড, ক্যান্ডি, চিংড়িমাছ, গরুর মাংস,বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, অতিরিক্ত মসলা যুক্ত খাবার। এই খাবার গুলো অবশ্যয়ই এড়িয়ে চলতে হবে নয়তো এলার্জি বাড়তে পারে। 

এ্যার্জির ঔষধের নামঃ
এ্যার্লাট্রোল
অ্যালারনেক্স
গ্রেনযাইন
হিষ্টাকাইন্ড
ন্যাসিভিওন
ফেকজো


পরিশেষে, বলা যায় সঠিক ডায়েট চার্টের মাধ‌্যমে স্বাস্থ‌্য সম্মত উপায়ে ওজন কমানো সম্ভব। সে ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করা এবং সেটা  সঠিকভাবে মেনে চলা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইমা ম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url